ঢাকা,শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

ইসির উপর আস্থা ফেরানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

leadঅনলাইন ডেস্ক :::

নির্বাচন কমিশন-ইসির উপর উপর আস্থা ফেরানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কমিশনের ওপর জনগণের আস্থার অভাব। আস্থা ফেরাতে কমিশন পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, যে দল পরাজিত হয়, তারা ফল বর্জন করে। কী কী করলে কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা তৈরি হবে, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। যারা হারবে, তাদের ফল মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। ফল বর্জন করা যাবে না। সঠিক নির্বাচনের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে ও সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন গঠনের উপরও জোর দেন তিনি। তিনি আরও পরামর্শ দিয়ে বলেন, অনেক দেশে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিশন গঠন করা হয়। এটি একটি ভালো কৌশল। আমরা কমিশনার নিয়োগ আইনের যে খসড়া তৈরি করে দিয়েছিলাম, সেখানে এ কথা বলা ছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর মত নিয়ে কমিশন গঠন করা হলে জনগণের আস্থা তৈরি হবে। শামসুল হুদা আরও বলেন, জনগণের আস্থা থাকলেও সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাহায্য করেছিল বলেই কিছু কিছু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এসময় তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ঐতিহাসিক ভুল করেছে। সংসদ বর্জনও একধরনের অপসংস্কৃতি। এসবের কারণে গণতন্ত্রের ভিত নষ্ট হয়ে যায়। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইসির পুনর্গঠন হলে গণতন্ত্র উদ্ধার হবে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। ইসি সঠিকভাবে গঠন না হলে পরিণতি খারাপ হয় এটা হল বড় বিষয়। সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অতীতে সঠিক পদ্ধতির ব্যবহার করে সঠিক ব্যক্তিদের কমিশনে নিয়োগ না দেওয়ায় কমিশনের সদস্যরা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এ জন্য সঠিক নির্বাচনের জন্য সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে কমিশন গঠন করতে হবে। গবেষক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ইসি পুনর্গঠন নিয়ে মানুষের মনে সংশয় আছে। আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ আশঙ্কা করছে, সরকার হয়তো এমন কাউকে নিয়োগ দেবে, যারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। এ আশঙ্কা সরকারকেই দূর করতে হবে।

পাঠকের মতামত: